তৃণমূলের মেঠো প্রতিবাদ জেলায় জেলায় : জমির আলে দাঁড়িয়ে নয়া কর্মসূচী

16th September 2020 5:30 pm বাঁকুড়া
তৃণমূলের মেঠো প্রতিবাদ জেলায় জেলায় : জমির আলে দাঁড়িয়ে নয়া কর্মসূচী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রাজ্যের কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অভিনব আন্দোলনে নামলো শাসক তৃণমূল। বুধবার রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাঁকুড়ার প্রতিটি ব্লকেই ইন্দাস , পাত্রসায়ের , সোনামুখী , জয়পুর , কোতুলপুর , মেজিয়া , বরজোরায় 'মেঠো প্রতিবাদ' কর্মসূচী পালন করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লক সভাপতি নিজে ধানের জমির আলে দাঁড়িয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এই 'মেঠো প্রতিবাদ' কর্মসূচীতে অংশ নেন।রাজ্যের মন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা কোতুলপুর বিধানসভার মির্জাপুরে ধান জমিতে নেমে মেঠো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেন I আজকের কর্মসূচি থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদেরকে ওয়ান টাইপ অফ রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক করনের কথা বলে কৃষকদের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এই রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিকরণ চালু হলে বিভিন্ন রাজ্যের উপর বহুজাতিক সংস্থা হস্তক্ষেপ করবে এবং তারা সমস্ত দ্রব্যের মূল্য কম দামে চাষীদের বিক্রি করতে বাধ্য করবে I অন্যদিকে মেজিয়া ব্লক কিষান ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হীরালাল মাজির উদ্যোগে মেজিয়ার নাগরডাঙা টোল প্লাজা সংলগ্ন এক কৃষি জমির ধারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল কৃষি নীতি, ফসলের ন্যায্যমূল্য, রাসায়নিক সারের  উপর ভর্তুকি সহ বাংলার কৃষকদের  লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তারা।
এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শালতোড়া বিধানসভার বিধায়ক স্বপন বাউড়ি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।